বাংলাদেশের আজকের প্রেক্ষাপটে খুবই কমন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডায়াবেটিস। আজকে আমরা এমন কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করবো যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ইদানীং ডায়াবেটিসের সমস্যা অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতি ঘরেই ডায়াবিটিসের রোগী দেখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক বেশি সাবধানতা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
সাদা চালের ভাত যতো বেশি খাওয়া হয় ততো বেশি টাইপ-২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রায় ৩,৫০,০০০ মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে প্রতিদিন সাদা চালের ভাত নিয়মিত খাওয়ার ফলে প্রায় ১১% টাইপ-২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কতটুকু ভাত খেতে পারেবেন তা একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে নেয়া আবশ্যক।
চাইনিজ খাবারে রয়েছে অনেক বেশি ফ্যাট, ক্যালরি, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট যা হুট করেই দেহে সুগারের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে অরেঞ্জ, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ধরণের খাবার ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
বোতলজাত ফলের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালরি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আমরা সবাই জানি যে তাজা ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের বেলায় একথাটা একবারেই প্রযোজ্য নয়। তাজা ফলমূল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। যেমন: কলা এবং তরমুজের মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়। তাই এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
সুইট এন্ড ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল (cereals) ধরণের খাবারগুলো ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও ইনস্ট্যান্ট ধরণের স্বাস্থ্যকর ওটমিলও ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কিছু খাবার আছে যাতে দুধের পরিমাণ খুব বেশি যেমনঃ দই, দুধের তৈরি ক্রিম, চিজ এই খাবার গুলো ডায়াবেটিক রোগীদের না খাওয়াই উত্তম।
কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কিশমিশ ভাল নয়। কেননা, যে কোন ফল যখন ড্রাই করা হয় তখন তাতে চিনির পরিমান দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনুতে কিছু সবজি বাদে সবজি থাকা আবশ্যক। যেমন: বরবটি, শালগম, কাঁচা পেপে, সীম, কাঁচা আম, করলা, কলার মোচা, কাঁচা কলা, ঢেঁড়স ও বেগুন। এই সবজিগুলো বেশি বেশি খাবেন।
সুতরাং, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য গ্রহনে সচেতনতা অনেক বেশি প্রয়োজন। সচেতন হোন, সুস্থ্য থাকুন।